Wednesday 16 October 2024

আনোয়ার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অসুস্থ হওয়ার কয়েকদিন আগে অর্থাৎ ০৪/০৩/২০২৩ তারিখ মাস্টার আনোয়ার হোসেন স্মৃতি সংসদের ২৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বক্তব্য প্রদান কালে।

 

আনোয়ার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অসুস্থ হওয়ার কয়েকদিন আগে অর্থাৎ ০৪/০৩/২০২৩ তারিখ মাস্টার আনোয়ার হোসেন স্মৃতি সংসদের ২৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বক্তব্য প্রদান কালে বলেন শিক্ষা সংস্কৃতি ও সার্বিক সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রায় তিন যুগ ধরে সংস্থাটির কার্যক্রমে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা ও অংশগ্রহন অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।

Thursday 11 May 2023

একজন একাকী ব্যাক্তির উপলব্ধি।

 হ্যাঁ, জীবনে ভূল আছে সেটা আমি হায়াত থাকলে শুধরিয়ে নেবার সুযোগ আছে।

 সেগুলোর অন্যতম হলো অতি আবেগ, ক্রোধ, দাম্ভিকতা, নিজের আবশ্যিক স্বার্থকে গুরুত্ব না দিয়ে অন্যের স্বার্থে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া। 

যখন যাকে ভালোবেসেছি নিজের চেয়ে নিজের মা-ভাই-বোন, নিজের স্ত্রী সন্তানের চেয়ে বেশি অন্ধভাবে তার বা তাদের জন্য সব করেছি, তাদের জন্য অন্যকে ক্রোধ-দাম্ভিকতা দেখিয়েছি। যেসব ছিলো ভূলের চাইতে ভূল অনেক ক্ষেত্রে অপরাধ করেছি। কিন্তু যে বা যাদের জন্য সব করলাম তারা প্রতিদান হিসাবে যা কিচু আমার সাতে করলো তা সবাই জানেন।

 ধর কেউ আমার একমাত্র পছন্দের নেতাকে কটাক্ষ করে বিশ্রি ভাষায় গালি দিয়েছে শুনলে তাকে আমি ধমক দিয়েছি, পাল্টা কিছু বললে আরো বেশি ধমকিয়েছি, কিন্ত সে বা তারা আমা যেগুলোর কোনটাই আমার ব্যক্তি বা নিজের জন্য বা পরিবারের জন্য নয়। 

আমার নিজের ব্যাক্তিস্বার্থে কাউকে আপনি থেকে তুমি বলার চেস্টা করিনাই। অন্তরের মালিক আল্লাহকে নিজে, চুড়ান্ত বিচারক ও একমাত্র আল্লাহ।  আমি আল্লাহর উপর ভরসায় বেঁচে আছি, শক্তিশালী আছি। নিজেকে চেনার সুযোগ পেয়েছি।

আমি যখন যাকে পছন্দ করেছি শুধু তাকেই পছন্দ করেছি। তাকে সবাই অপছন্দ করলেও আমি অপছন্দ করিনাই। তাকে সবাই ত্যাগ করলেও আমি ত্যাগ করিনাই। যাকে ভালোবেসেছি বিশ্বাস করেছি জীবনের  দিয়ে মনেপ্রাণে ভালোবেসেছি বিশ্বাস করেছি। বিনিময়ে কি পেয়েছি।  প্রতিদানের কথা কখনো ভাবিনাই । 

তাই না পাওয়ার বেদনা আমাকে কষ্ট দেবে তা চাই না।

আমি জীবনে ধুমপান করিনাই। মদ পান করিনাই,  গাঁজা মাদক আমি চিনি না। আজ পর্যন্ত তাস এর ফোটা চিনি না। কাউকে ফাঁকি দিয়ে  টাকা আয় করিনাই। কারো টাকা বা সম্পদ মেরে খাওয়া তো দুরের কথা কারো থেকে পারত পক্ষে হাওলাত পর্যন্ত করিনাই।  কর্জ ইদানীং করতে হয়েছে জীবন বাঁচানোর তাগিদে।  আমি সেটা বড় খাতায় লিখে রেখেছি। সুতরাং আমার কোন দুশ্চিন্তার কারন নাই। মন খারাপ করার দরকার নাই।

Monday 10 October 2022

মাদক মানবতাকে বিপর্যস্ত করে।

 মাদক নামক এক ভয়াল আগ্রাসী নেশা ধীরে ধীরে খেয়ে ফেলছে আমাদের প্রজন্মকে। মাদকের ভয়ানক আসক্তি সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে দীর্ঘমেয়াদে নৈতিক অবক্ষয় ঘটাচ্ছে কিংবা ভবিষ্যতেও ঘটাবে। সাধারণত ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন, প্যাথেডিন, আফিম, মদ, গাঁজা ও ভাংসহ বিভিন্ন নামে বিভিন্নরূপে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলছে।

নেশাখোর দিন দিন শীর্ণকায় হয়ে যায়, হাত-পা দুর্বল, খিদে কম, কাজকর্ম করার মতো শারীরিক ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। কিডনি, লিভার, হার্ট বিনষ্ট হয়ে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে তারুণ্য জীবনের মাঝপথেই। গাঁজা, ভাং, ইয়াবা ধরনের মাদক জীবন নিঃশেষ করে দেয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন মারাত্মক নেশাজাতীয় দ্রব্য। নেশা ধরায় আরও অনেক রকমের মাদক, হেরোইন, ফেনসিডিল, অ্যালকোহল, তামাকজাত দ্রব্য (জর্দা, গুল, সাদাপাতা) এবং নামে-বেনামে আরও অনেক মাদক। মিয়ানমারের নির্জন পাহাড়ের ঘন অরণ্যের ভেতরে 'গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল' নামক এলাকা ইয়াবা ব্যবসায়ের কেন্দ্রবিন্দু। দেশটির সরকার নিজের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধির লোভে এ জঘন্য ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক আরও আসে আফগানিস্তান থেকে। ব্রিটিশরা কয়েক শতাব্দী আগেই বিভিন্ন প্রকার মাদক অবিভক্ত ভারত উপমহাদেশে প্রচলন করে দিয়েছিল যাতে প্রজারা রাজার বিরুদ্ধে আন্দোলন করার মতো শক্তি হারিয়ে ফেলে, যেন মাদকাশক্ত হয়ে সারা দিনরাত ঝিম মেরে পড়ে থাকে। বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরী-তরুণ-তরুণীদের একটা অংশ ডুবে যাচ্ছে মাদকে, হারিয়ে ফেলছে জীবনীশক্তি। অকর্মণ্য হয়ে যাচ্ছে সমাজজীবনে। মাদকসেবীরা কোথাও কোথাও ভাইকে, মাকে, স্ত্রীকে, বাবাকে পর্যন্ত খুন করছে নেশার ঘোরে কিংবা মাদক কেনার টাকার জন্য। কলেজ ছাত্রী ঐশীর কথা নিশ্চয়ই কেউ ভুলে যায়নি, যে মেয়েটি নেশার কারণেই বাবা-মাকে হত্যা করে।
তাই, পরিবার থেকে সচেতনতা শুরু করার বিকল্প নাই। সন্তানদের সঙ্গে পারিবারিক বন্ধন বাড়াতেই হবে। দেশব্যাপী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা। এ অভিশাপ থেকে তরুণ প্রজন্মকে বাঁচাতে সরকারের পাশাপশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে প্রজন্ম বাঁচলে জাতি বাঁচবে।











Friday 16 September 2022

সিগারেটকে জ্বালাতে গিয়ে জ্বলছেন আপনি বুঝতে পারেন নাই।

 সিগারেটকে জ্বালাতে গিয়ে জ্বলছেন আপনি বুঝতে পারেন নাই। আরো জ্বলে শেষ হবেন কিচ্ছু করার নাই।

https://youtu.be/NTkAzxJBLRI

Tuesday 16 August 2022

মাস্টার াানোয়ার হোসেন এর ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আনোয়ার ট্রাস্ট চেয়ারম্যান আনোয়ার আশরাফ এর স্মৃতিচারণ।

 সেদিন ছিলো ১৫ আগস্ট ভোর রাত ৪.০০ টা ১৯৮৯ সাল। রাত প্রায় ৩.০০ টার সময় নুরছাফা কাকা (আমার ভাতিজা এবং রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গুরু) বাবার কাছ থেকে শেষ বিদায় নিয়ে বাড়ী ফেরার সময় আমাকে বললেন সতর্ক ও শক্ত হও সবকিছু তোমাকেই মেনে নিয়ে সামলাতে হবে। তখনও গুনাক্ষরেও বুঝতে পারিনি যে মাত্র ১ ঘন্টার মাথায় আমি এতিম বনে যাবো।

নুরছাফা

কাকা বিদায় নেবার পর আমি বাবার কাছে গেলাম। আমার মেঝো দুলাভাই এবং আম্মা সেখানে বরাবরের মত সেবা যত্নের দায়িত্বে আছেন। এক পর্যায়ে বাবার জন্য পানি গরম করতে আম্মা রান্নাঘরে গেলে আমি বাবার পাশে গিয়ে বসি। বাবা দক্ষিন বারান্দায় ছিলেন, কেমন যেন মনে হলো বাবার পায়ের কাছে পিপড়া জাতীয় কিছু একটা হাটছে, আমি পায়ের কাছে গেলাম হারিকেন এর সাহায্যে পিপড়া খোঁজাখুজি করে কিছুই পেলাম না। সে সময় হঠাৎ বাবা চোখ মেলেন। মেঝো দুলাভাই জিজ্ঞেস করলেন আব্বা কিছু বলবেন? বাবা কিছু না বলে আমার দিকে তাকালেন আমি উঠে দাঁড়ালাম নিমিষেই বাবা ডান হাত উপরে তুলে কলেমা পড়লেন। আমার দিকে তাকিয়ে আল্লাহ শব্দটি উচ্চারণ করলেন। মনে হলো আরো কিছু বলবেন কিন্তু মেঝো দুলাভাই বলে উঠলেন আব্বা আর নেই, উনি সেরে গেছেন........
মানুষের মৃত্যু এত সহজ স্বাভাবিক হতে পারে প্রথম চোখের সামনে দেখলাম। নিমিষেই বাবা না ফেরার দেশে চলে গেলেন... সে থেকে আমি পিতৃহারা। আমি এতিম। আমি নিঃস্ব।
আমার শিশু কাল থেকে কখনো বাবাকে অসুস্থ হতে দেখিনি। আমার উচ্চ মাধ্যমিক টেস্ট পরীক্ষার কয়েকদিন পরে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। চট্টগ্রাম শহরে চিকিৎসার জন্য নুরছাফা কাকা ও মেঝো দুলাভাই কে সাথে নিয়ে গিয়েছিলেন। আমি সাথে যাওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করলাম, কান্নাকাটিও করলাম, সেদিন আমাকে শান্তনা দিয়ে বাবা যে কয়টি কথা বললেন তাহা আজীবন আমার পাথেয় হয়ে থাকুক।
বাবা বলেছিলেন তুমি আমার বড় ছেলে তুমি যদি কান্নাকাটি কর ছোটরা কি করবে, তোমার বোন তারা, ছোটভাই আবসার ওরা কি করবে।ওদের কথা মনে রেখে হলেও কান্না থামাও। আরিফ তো এখনো শিশু, সে আজো ভালোভাবে জানেনা বাবা কাকে বলে। তুমিতো আমার অনেক সান্নিধ্য পেয়েছো, আমরা একসাথে খেয়েছি, টুকিটাকি কাজ করেছি, বাজার করেছি, নোয়াখালী কোম্পানি গঞ্জ (বালুরচর), চট্টগ্রাম শহর, সুফি শাহ্ হুজুরের দরগাহে গিয়েছি, খেলাধুলা নাটক এমনকি হলে গিয়ে সিনেমা পর্যন্ত একসাথে দেখেছি। বাকিরা তো কোন কিছুর সুযোগও পেলো না। এখন তুমি ভালোভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিলেই বাবা সুস্থ হয়ে যাবো, তোমার লেখাপড়াই আমার সুচিকিৎসা।
রিক্সায় উঠে গেলেন বাবা, আমরা পিছনে হাটছিলাম। নোয়াবাড়ীর (টিপু সুলতানের বাড়ী) সামনে দিয়ে যেতেই হঠাত রিক্সা থামালেন, ইশারায় কাছে ডাকলেন আমাকে। জীবনে প্রথমবারের মত দেখলাম বাবার চোখ থেকে অঝোরে পানি ঝরছে। আমার কাঁধে হাত রেখে বললেন তোমার বড় একটি বোন পঙ্গু, বাবা হয়ে তাকে সুস্থ দেখে যেতে পারলাম না, আর তোমার বুবুজান-দিদি, তাদের নিজের মায়ের পেটের একটা ভাই ও নাই। আমার বিশ্বাস তুমি তাদের সে দুঃখ মুছে দিবে। এই বলে আমার গায়ে হাত বুলিয়ে দিয়ে বাবা বাড়ি ফিরতে বললেন।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতাল, চন্দ্রঘোনা মিশনারী হাসপাতালেও বাবার চিকিৎসা হলো। অবস্থার তেমন কোন পরিবর্তন হলো না। আসলে মরন ব্যাধি পেয়ে বসেছিলো বাবাকে।
আমি ফাইনাল পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরলে বাবা জিজ্ঞেস করলেন "বাবাজান তোমার পরীক্ষা কেমন হলো" আমি বললাম ভালো হয়েছে আব্বা। জিজ্ঞেস করলেন তোমার ক্লাসমেটদের বাবারা পরীক্ষার সময় দেখাশোনা করতে গিয়েছিলো, না?
আমি বললাম হ্যাঁ। অনেকের বাবা, গার্ডিয়ানরা গিয়েছিল। বাবা দুঃখ করে বললেন আমি এমন এক হতভাগ্য পিতা একবারের জন্য ও তোমাকে দেখতে যেতে পারলাম না।
তবে বিশ্বাস আছে আমার ছেলের পরীক্ষা অন্তত খারাপ হতে পারে না।
পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনার কিছুদিন আগেই বাবাকে চিরতরে হারিয়ে ফেললাম, আমি ভালো রেজাল্ট করলাম কিন্তু আফসোস বাবা আমার পাশের খবরটা পর্যন্ত জেনে যেতে পারলেন না।

Sunday 31 July 2022

সমাজ সংস্কারক মাস্টার আনোয়ার হোসেন।

 সমাজ সংস্কারক মাস্টার আনোয়ার হোসেন ( মাস্টার আনোয়ার স্মৃতি সংসদ) শিক্ষা বিস্তারে ানবদ্য ভূমিকা পালন করেন। তিনি নিজ পৈত্রিক সম্পত্তিতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন উত্তর সন্তোষপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় যাহা পরবর্তীতে জাতীয়করন করা হয়। সন্তোষপুর কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার জমি দাতাদের অন্যতম একজন ও ছিলেন তিনি। সন্তোষপুরের প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার ক্ষেত্রে মাস্টার আনোয়ার হোসেন প্রত্যক্ষ পরোক্ষ ভূমিকা ও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন মরহুম মাস্টার আব্দুল হক সাহেবের পরম বন্ধু ও সন্তোষপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। অসুস্থ মাস্টার আব্দুল হক সাহেব চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাওয়ার পূর্বে তাহার পারিবারিক সম্পত্তির যাবতীয় কাগজ পত্র দলিল দস্তাবেজ ও বিদ্যালয়ের যাবতীয় কাগজপত্র সমুহ মাস্টার আনোয়ার হোসেন সাহেবের হাতে তুলে দেন এবং বলেন তুমি আমার ছোট ভাই বন্ধু হিসাবে আমার অবর্তমানে দায়িত্ব নেবে। মাস্টার আনোয়ার হোসেন এর ঘনিষ্ঠ বন্ধু সমাজ সেবক মৌলভী হাসান সাহেব সেসময় উপস্থিত ছিলেন। সেই থেকে জীবনের শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত তিনি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে ছিলেন। কোন অজুহাতে বা কারনে এক দিনের জন্যও তিনি বিদ্যালয় থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন না।

মাস্টার আনোযার হোসেন সাহেব তার এলাকার, সন্দ্বীপের বিভিন্ন প্রান্তের এমনকি হাতিয়া নোয়াখালী, কুতুবদিয়ার গরীব মেধাবী ছাত্রদেরকে নিজ দায়িত্বে স্কুলে ভর্তি করাতেন লেখাপড়া করাতেন। তাঁর ভাতিজা জসীম উদ্দিন আহমেদ কে তাাঁহার পিতা মরহুম আব্দুল মালেক কোম্পানী কাটগড় গোলাম নবী হাই স্কুলে ভর্তি করাতে চাইলেও মাস্টার আনোয়ার হোসেন এর অনুরোধে সন্তোষপুর উচ্চবিদ্যালয়ে লেখাপড়া করান। সেই জসীম উদ্দিন আহমেদ এ যাবত কালের সেরা রেকর্ড ফার্স্ট স্ট্যান্ড (কমার্স ) করেন সে রেকর্ড সন্দ্বীপের আর কোন স্কুলের নাই। তাহার পরিবারের আরেক মেধাবী ছাত্র মাস্টার একেএম নুরছাফা (Akm Nur Safa ) এর ক্ষেত্রে অনুরুপ ঘটনার পূনরাবৃত্তি হতে পারতো যদি মরহুম মুন্সী নুর হোসে সাহেবের ইচ্ছামতো লেখাপড়া করানো হতো। মাস্টার একেএম নুরছাফা বিদ্যালয়ের চরম সংকটাপন্ন সময়ে সায়েন্স থেকে এসএসসি ১ম বিভাগে পাশ করে ঐ সময় স্কুলের ইজ্জত রক্ষা করেছিলেন। এভাবে অসংখ্য উদাহরণ রযেছে বলে বা লিখে শেষ করা যাবে না। মাস্টার আনোয়ার হোসেন এর কাচারী ঘর ও নিজ বসতগৃহের দক্ষিণাংশ বছরের পর বছর সন্তোষপুর হাই স্কুলের গরীব ও মেধাবী ছাত্রদের জন্য ফ্রি হোস্টেল হিসাবে চালু ছিলো। কীর্তি মানের কখনো মৃত্যু হয় না। তাহারা ইহকাল ত্যাগ করিলেও মানুষের মনে বেঁচে থাকেন আজীবন।
১৯৮৯ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে মাস্টার আনোয়রে হোসেন মৃত্যুবরণ করেন। সেসময়কার প্রধান শিক্ষক মরহুম মাস্টার শফিকুল মাওলা মানিক সাহেব বিদ্যলয় ছুটি ঘোষণা করে(তখন ১৫ আগস্ট বিদ্যালয় খোলা থাকতো) শিক্ষক, কর্মচারী , অভিভাবক ও ছাত্রদের নিয়ে জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। আমরা এই মহান ব্যতক্তর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। 

Tuesday 12 April 2022

ধূমপানে চোখের মারাত্মক ক্ষতি

ধূমপানে চোখের মারাত্মক ক্ষতি: অনেকে মনে করে থাকে, ধুমপানের কারনে কেবল কিছু  ফুসফুসীয় সমস্যাই হয়। আবার অনেক ধুমপায়ী বিশ্বাসই করতে চান না, ধুমপান হৃদরোগ বা ক্যান্সারের কারন। তবে তারা মানুক বা  না মানুক এগুলো সত্য। কারন এই সিগারেটে আছে প্রায় ৬৯০ টা কার্সেনোজেনিক এজেন্ট,